Thursday 25 August 2016

যৌনাঙ্গের আশেপাশে ত্বকের রং কাল হয়ে গেছে, কিভাবে ফর্সা করব?

প্রশ্ন ১ঃ আমার লিঙ্গের দুই পাশে কোনায় ত্বক একটু কাল কাল হয়ে গেছে, এটা কেন কাল হয়? এমন কি লিঙ্গও অনেকটা কাল হয়ে গেছে? এটা দূর করার জন্য কি কিছু করার আছে? ট্রিটমেন্ট আছে কি?? এরকম কি সবার হয় নাকি শুধু আমার হয়েছে? মেয়েদেরও কি যৌনাঙ্গের অংশ এরকম হয় নাকি সুন্দর হয়?উঃ যৌনাঙ্গ ও তার আশেপাশের অঞ্চলের রঙ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় খানিকটা কাল হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ওটা চিন্তার কোন বিষয়ই নয়। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এমন হয়। মূলত যৌন হরমোনের প্রভাবে ওই অঞ্চলের ত্বকে মেলানিন নামের “পিগমেন্ট” বেশি ক্ষরিত হওয়ার ফলেই এমনটা হয়ে থাকে। ওটা ঠিক করার নিরাপদ কোন ভরসাযোগ্য চিকিৎসা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। আর যা কোন অসুখই নয় তার ট্রিটমেন্ট করারই কি দরকার? মেয়েদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেও এরকম হয়। তবে ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে কিছু নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।রং যেমনই হোক না কেন যৌনাঙ্গ সুন্দর রাখার উপায় হল ওই অঞ্চলের ত্বকের পরিচর্যা করা। নিয়মিত ওই অঞ্চল জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। প্রয়োজনে মাইল্ড সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যৌনাঙ্গের ভেতরের অংশে সাবান লাগানো ঠিক নয়। ইচ্ছে হলে যৌনাঙ্গের লোম নিয়মিত ট্রিম করতে পার। টক দইয়ের প্রভাবে মেলানিন ক্ষরণ ব্যহত হয়। তাই নিয়মিত ত্বকে টক লাগিয়ে দেখতে পার, রং ফর্সা হলেও হতে পারে। তবে রং ফর্সা না কাল সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো একটা বিদঘুটে ব্যাপার। সৌন্দর্য ত্বকের রংয়ের উপর নির্ভর করেনা, “Beauty lies at the eyes of the beholder”।

Wednesday 24 August 2016

বিয়ের তিনমাস পরে সঙ্গমকালে পুরুষাঙ্গ নেতিয়ে পড়ছে, কি করব?

প্রশ্ন ১ঃ আমার বিয়ের তিনমাস হয়েছে। আমি প্রতিদিন স্ত্রীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হই। প্রথম প্রথম সঙ্গম শুরুর ১৫ থেকে ২৫ মিনিট পর বীর্যস্খলন হত। কিন্তু বিগত ৫ দিন ধরে সঙ্গমকালে পুরুষাঙ্গ শক্ত হলেও বীর্যপাতের আগেই নেতিয়ে পড়ছে। কি করব?উঃ চিন্তা করবেননা। আপনার “ছোটখোকার” কোন দূরারোগ্য ব্যাধি হয়নি! মনে হচ্ছে আপনি বৈচিত্রের অভাবে ভুগছেন। রোজ রোজ কষা মাংস আর পোলাও খেলে যেমন মাংস-পোলাও-তে অরুচি ধরে তেমনি আপনিও হয়তো একইরকমভাবে সঙ্গম করতে করতে অবচেতন মনেই খানিক Bored হয়ে গেছেন। বিভিন্ন ভাবে সঙ্গম করার চেষ্টা করুন। শুধু যে ভিন্ন ভিন্ন পোজেই চেষ্টা করবেন তাই নয়। বিভিন্ন সাজে, বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন স্থানে সঙ্গম করুন। যেমন স্নানঘরে সঙ্গমের চেষ্টা করতে পারেন, রান্না করতে করতেও আচমকা সঙ্গম শুরু করতে পারেন, ডাইনিং টেবিলে করতে পারেন। আমরা এর থেকে বিস্তারিতভাবে ওইসব বৈচিত্রময় সঙ্গম প্রণালী আলোচনা করতে গেলে এই প্রশ্নের উত্তর “বটতলার গল্পে” পরিণত হবে। তাই কিভাবে সঙ্গম করবেন সেটা ঠিক করতে নিজের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে বিভিন্ন উত্তেজক গল্প বা ভিডিও দেখে আইডিয়া নিতে পারেন। এছাড়াও স্ত্রীকে বিভিন্ন রকম ড্রেস কিনে দিন। রোজ রোজ নাইটি পড়ে যদি স্ত্রী সামনে আসে তাহলে একঘেয়েমি আসতে বাধ্য। যদি বাড়িতে বেশি লোক থাকার কারণে অসুবিধা হয় তবে কিছুদিনের জন্য কোথাও ঘুড়ে আসুন। বর্তমানে কিছুদিন রোজ সঙ্গমের পরিবর্তে এক বা দুদিন বাদে বাদেও সঙ্গম করতে পারেন। তাহলে নেতিয়ে পড়াস সমস্যা থাকবেনা আশা করি।সঙ্গমকালে “রোল প্লে” করতে পারেন। মানে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী না ভেবে অন্যকিছু ভাবতে পারেন। অথবা সঙ্গমকালে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে নয়, অপর কারও সাথে সঙ্গম করছেন। যদিও নীতিগত দিক থেকে এই ব্যাপার দুটি ঠিক নয়, তবুও যতক্ষণ আপনি এবং আপনার স্ত্রী পরষ্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকছেন ততক্ষণ এতে দোষের কিছু নেই। আসল সেক্স সম্পন্ন হয় আমাদের মস্তিষ্কে। সঙ্গম ক্রিয়া, অর্থাৎ যোনির মধ্যে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে ঘর্ষণ, লিঙ্গমুন্ড এবং যোনিতে অবস্থিত স্নায়ুসমূহকে উদ্দীপিত করে মাত্র। আপনি যে নারীর সাথেই সঙ্গমে লিপ্ত হোন না কেন লিঙ্গমুন্ড ও যোনির ঘর্ষণবল এবং স্নায়বিক উত্তেজনা মোটামুটি একই থাকে। ওই উত্তেজনাকে আপনি কতটা সুখকর ভাববেন সেটা নিশ্চিত হয় মস্তিষ্কে। যখন আপনি বোরড হয়ে যান তখন সঙ্গম ব্যাপারটিও তাই আর ততটা সুখকর থাকেনা এবং ফলতঃ পুরুষাঙ্গ নেতিয়ে পড়ে। বৈচিত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েসে সুখ। সেই বৈচিত্রের জন্যেই মুঘল বাদশাহদের হারেম থাকত! এছাড়াও যে জিনিস সহজলভ্য নয় তার প্রতি মানুষের এক সহজাত আকর্ষণ থাকে। সেইজন্যেই পরকীয়াতে বহু লোক আসক্ত। কিন্তু হারেম ও পরকীয়া দুটোর কোনটাই সম্ভব নয়/ উচিৎ নয়, কারণ সেগুলো অনৈতিক ও বেআইনী। তাই আপনি বেছে নিন “রোল-প্লে”।এছাড়াও আপনি কি সময় বাড়ানোর জন্য কোন বিশেষ কনডম বা ওষুধ ব্যবহার করছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই ওইসব কনডম বা ওষুধের প্রভাবে লিঙ্গের সংবেদনশীলতা এতটাই কমে যায় যে সেটা নেতিয়ে পড়ে। রোজ নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন ও সুষম আহার করুন। দেখা গেছে এক্সারসাইজ করলে শরীরে টেস্টোস্টেরণ হরমোন ক্ষরিত হয় যা কামতৃষ্ণা বজায় রাখে। শুভেচ্ছা রইল।Share this:

Wednesday 17 August 2016

গর্ভপাত করার পদ্ধতি...........


গর্ভপাতের পদ্ধতি আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে প্রয়োজন গর্ভাবস্থার জেস্টেশনাল বয়েস সম্মন্ধে জ্ঞান। গর্ভাবস্থার জেস্টেশনাল বয়েস সাধারণত গণনা করা হয় (প্রেগন্যান্ট হওয়ার আগে) শেষবার পিরিওড শুরু হওয়ার দিন থেকে। জেস্টেশনাল বয়েস ৯ সপ্তাহের (৬৩ দিন) থেকে কম হলে সাধারণত Mifepristone এবং misoprostol নামের দুটো ঔষধ ব্যবহার করা হয়। গর্ভপাতের আগে আলটাসোনোগ্রাফি করে গর্ভের সঠিক বয়স নিশ্চিত হতে হয়। এটাও বুঝে নিতে হবে ভ্রূণ জরায়ুতেই রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্রূণ জরায়ুর পরিবর্তে ফ্যালোপিয়ান নলের মধ্যেই বাড়তে শুরু করে (এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি)। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সিতে Mifepristone এবং misoprostol ব্যবহার করে গর্ভপাত করা সম্ভব নয়। পরীক্ষা করে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডাক্তারের উপস্থিতিতে প্রথমে ২০০ মি.গ্রা. Mifepristone (200 mg) খাওয়ানো হয় (গিলতে হয়)। এই ওষুধটি খাবার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিলে বমি হবার সম্ভাবনা কম। Mifepristone খাবার কিছুক্ষণ পরেই ব্লিডিং শুরু হতে পারে (নাও হতে পারে)। রক্তপাত শুরু হোক বা না হোক, Mifepristone খাবার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর ৪টে (4 টে) misoprostol ০.২ মি.গ্রা. (২00 micro gram µg) ট্যাবলেট একসাথে জিবের তলায় আধাঘন্টা রেখে তারপর গিলতে হবে। মনে রাখবেন ট্যাবলেটগুলি জিবের তলায় আধঘন্টা রেখে দেওয়া কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিবের তলায় আধঘন্টা রেখে দেওয়ার পরিবর্তে ওই চারটি misoprostol ট্যাবলেটকে যোনির গভীরে প্রবেশ করিয়ে দিলেও কাজ হবে। উল্লেখ্য যে এই দুটি ওষুধের ডোজ নির্ভর করে গর্ভসঞ্চারের ঠিক কতদিন পর গর্ভপাত করা হচ্ছে তার উপর। Misoprostol নেবার ৫ ঘন্টার মধ্যেই abortion হয়ে যাবার কথা। প্রায় ৭ থেকে ১০ দিনের মাথায় ডাক্তারের কাছে গিয়ে এটা নিশ্চিত হতে হয় যে abortion হয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই abortion হয়ে যায়। তবে আবারও বলছি যে উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভপাত করাবেন না। গর্ভপাতের সময় স্বাভাবিক পিরিওডের সময় যেমন রক্তক্ষরণ হয় তেমন বা তার থেকে কিছু বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে। তার সাথে তলপেটে ব্যাথা বা ক্র্যাম্প হতে পারে। কিন্তু যদি খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয় (চার থেকে ৫ টি প্যাড প্রতি ঘন্টায় বা ২৪ ঘন্টায় ১২ টি বা তার থেকে বেশি প্যাড) বা সাথে জ্বর হয় তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ অবশ্য কর্তব্য। শতকরা ৫ শতাংশ মহিলার ক্ষেত্রে ঔষধের দ্বারা abortion সফল হয় না। তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারই একমাত্র রাস্তা। বস্তুতপক্ষে ৭ সপ্তাহের থেকে কম জেস্টেশনের ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুটি ঔষধের মাধ্যেমে গর্ভপাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাতের থেকে বেশি কার্যকারী। ওই দুটি ঔষধ ছাড়াও Methotrexate এবং misoprostol ব্যবহার করেও গর্ভপাত সম্ভব। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসের পরেও ঔষধ ব্যবহার করে abortion হতে পারে। বিস্তারিত জানতে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গর্ভের জেস্টেশনাল বয়েস ১৫ সপ্তাহ পর্যন্ত হলে অস্ত্রোপচারেরে মাধ্যমে গর্ভপাতের সময় যোনির মাধ্যমে বিশেষ যন্ত্র (যেমন সিরিঞ্জ বা নল) ঢুকিয়ে গর্ভের বিভিন্ন পদার্থ যেমন ভ্রূণ, অমরা বা প্লাসেন্টা, বিভিন্ন পর্দা ইত্যাদি চোষণ বা শোষন করে বাইরে বের করে abortion ঘটানো হয়। সাধারণত এই পদ্ধতির সময় সার্ভিক্স স্থানীয়ভাবে অসাড় করে নেওয়া হয়। গর্ভের বয়েস ১৫ সপ্তাহের থেকে বেশি হলে গর্ভপাতের পদ্ধতি আরও একটু জটিল হয়। কিন্তু সঠিক ডাক্তার ও চিকিৎসালয়ে গিয়ে তখনো নিরাপদেই গর্ভপাত সম্ভব।
উত্তর শেষ করার আগে আবারও বলছি গর্ভপাত করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে কাজ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে গর্ভপাত একটি খুবই নিরাপদ পদ্ধতি – কোন বিশেষ সাইড এফেক্ট হয় না। কিন্তু হাতুরে ডাক্তার, ওঝা, বাজে ক্লিনিক বা নিজে নিজেই গর্ভনাশ করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যা, এমনকি মৃত্যু হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। আরও একটি পরামর্শ – যৌন সঙ্গমের সময় উপযুক্ত নিরোধ বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন, যাতে গর্ভপাতের প্রয়োজনই না হয়

পিরিওড বন্ধ হবার পরের দিন অসুরক্ষিত সঙ্গমের ফলে গার্লফ্রেন্ডের স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হচ্ছে.............

পিরিওড বন্ধ হবার পরের দিন অসুরক্ষিত সঙ্গমের ফলে গার্লফ্রেন্ডের স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হচ্ছে


প্রশ্নঃ আমি আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে তার পিরিওড বন্ধ হবার পরের দিন আবেগবশত সেক্স করে ফেলেছি। সেক্স করার সময় আমরা দুজনে শুয়ে ছিলাম। আমার পুরুষাঙ্গের প্রায় এক ইঞ্চি মত ঢোকানোর পর ১ মিনিটের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায় এবং বীর্যপাতের সময় আমি খুব দ্রুত লিঙ্গ বাইরে বের করে নেই। ফলে প্রায় সমস্ত বীর্যই বাইরে পরে গেছে। তা সত্ত্বেও আমার সন্দেহ হচ্ছে বীর্য কি একটু বা একফোঁটা হলেও যোনির ভেতরে ঢুকে গেছে? বীর্যপাতের প্রায় সাথে সাথে গার্লফ্রেন্ড বাথরুমে গিয়ে একটু প্রস্রাব করে নেয়। সে কি প্রেগন্যান্ট হতে পারে? আর যদি হয় তাহলে কিভাবে খুব সহজে গর্ভপাত করানো যায়? আর একটা সমস্যা – সেক্স করার ৬-৭ দিন পর ও বলছে ওর স্তনে ব্যাথা আনুভব করে। চাপ দিলে একরকম তরল পদার্থ বের হয় যা একটু ঘোলা ও লবনাক্ত। কিভাবে আমরা দুজন এই সমস্যা থেকে বের হতে পারি একটু বলে দিন। ধন্যবাদ।

উঃ পিরিওড বন্ধ হবার পরের দিন যৌনসঙ্গমের ফলে সাধারণত গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা নগন্য। অবশ্য যদি আপনার গার্লফ্রেন্ডের পিরিওড অনিয়মিত হয় সেক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি সম্ভব। বীর্যপাতের সময় খুব দ্রুত পুরুষাঙ্গ বাইরে বের করে নিলেও কিছুটা বীর্য যোনির ভেতর অবশ্যই পরবে। আর গর্ভসঞ্চারের জন্য প্রয়োজন কেবল একটিমাত্র শুক্রাণু। কাজেই যদিও এক্ষেত্রে আপনার গার্লফ্রেন্ডের প্রেগন্যান্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম, কিন্তু কপাল নেহাৎ খারাপ হলে সবকিছুই সম্ভব! সঙ্গমের পর সঙ্গিনী প্রস্রাব করে নিলেই যে গর্ভসঞ্চার রোধ হবে এই ধারণা নেহাতই একটি ভুল ধারণা। সেক্সের পর প্রস্রাব করার সাথে গর্ভসঞ্চার রোধের কোন সম্পর্ক নেই। তবে হ্যাঁ, এর ফলে মূত্রনালীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়।

যদি নিতান্তই আপনার গার্লফ্রেন্ডের এর পরের পিরিওড না হয় তবে পিরিওড মিস হবার পর “হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট” দিয়ে বাড়িতে বসেই প্রস্রাব পরীক্ষা করুন। এই “হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট” যেকোনো ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়। প্রথম টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ হলে ৭ দিন পর পুণরায় পরীক্ষা করুন। আর টেস্টে রেজাল্ট পজিটিভ হলে (মানে সত্যিই প্রেগন্যান্ট হলে) কোন ভাল স্ত্রী-রোগবিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে গর্ভপাতের ব্যবস্থা করাবেন। নিজে নিজে ওস্তাদি করে বা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে গর্ভপাত করতে গেলে হিতে বিপরীত, এমনকি জীবনহানিও ঘটতে পারে। ভাল ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দুটো বিশেষ ওষুধের সাহায্যে খুব সহজেই গর্ভপাত সম্ভব এবং পুরো ব্যাপারটাই গোপন রাখা যেতে পারে।

একাধিক কারণে স্তন থেকে তরল পদার্থ বের হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু কারণ যেমন চিন্তার কোন বিষয় নয় তেমনি আবার কিছু কারণ একটু জটিল। প্রেগন্যান্ট হলে স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হতে পারে। স্তনে চাপ প্রয়োগ করে টিপলে এমনকি ব্রা-এর সাথে ঘষা খাবার ফলেও স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হতে পারে। স্তনে সিস্ট (cyst) বা fibrous টিস্যু তৈরি হলেও স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে স্তনে ব্যাথার সাথে সাথে হালকা চাপ দিলে ভেতরে দলার মত কিছু আছে মনে হয়। থাইরয়েডের সমস্যা, পিটুইটারী গ্রন্থির সমস্যা, ড্রাগ খাওয়া, কিছু ওষুধ – যেমন, হরমোন, মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদির ফলেও স্তন হতে তরল ক্ষরণ হতে পারে। এমনকি দেখা গেছে মৌরি খেলেও অনেকের স্তন থেকে তরল বের হয়। স্তনে সংক্রমণের ফলে স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হতে পারে। স্তনের মধ্যে বিভিন্ন নালীকাগুলিতে (ducts) কোন বাধা সৃষ্টি (blockage) হলেও স্তন থেকে তরল ক্ষরণ হওয়া সম্ভব। কিছু কিছু ধরনের স্তন ক্যানসারের ফলেও তরল ক্ষরণ হয়। কাজেই আপনার গার্লফ্রেন্ডের ঠিক কি হয়েছে সেটা ভাল করে পরীক্ষা না করে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বলা সম্ভব নয়। খুব সম্ভবত আপনার গার্লফ্রেন্ড প্রেগন্যান্ট নয় এবং তার স্তন থেকে তরল বের হবার কারণ স্তনে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ। যদি এর পরেরবার পিরিওড হবার সময় পর্যন্ত আপনার গার্লফ্রেন্ডের স্তন থেকে তরল ক্ষরণ বন্ধ না হয় তবে অতি অবশ্যই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কোন ভাল স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। উনি পরীক্ষা করে দেখে সঠিক চিকিৎসা করতে পারবেন। এর পর থেকে কনডম ব্যবহার না করে যৌন সঙ্গম করবেন না। খেয়াল রাখবেন গার্লফ্রেন্ডের স্তন যেন অযথা অতিরিক্ত টেপাটেপি করা না হয়। শুভেচ্ছা রইল।

[বিঃদ্রঃ – যদি স্তন থেকে রক্ত বা পুজ বের হয় বা কেবল একটি স্তন থেকেই তরল বের হয় তবে অতি শীঘ্র ডাক্তারের কাছে যান।]

Monday 15 August 2016

বীর্যের সংস্পর্শে এলে স্ত্রীর যোনিতে প্রচন্ড জ্বালা করে, এর কারণ কি??????????

প্রশ্ন ১ঃ আমার শুক্রাণু/বীর্য বৌয়ের যোনিতে পড়লে প্রচন্ড জ্বালা করে। এর কারণ কি? এটা কি আমার সমস্যা না ওর সমস্যা?
উঃ খুব সম্ভবত এটা পুরোপুরি আপনার স্ত্রীর সমস্যা। এমন ঘটনা একাধিক কারণে হতে পারে। একটি কারণ হল বীর্যের প্রতি আপনার স্ত্রীর এলার্জি (Allergy)। এর ফলে বীর্যের সংস্পর্শে এলে যোনিতে জ্বালা, চুলকানি হতে পারে, যোনি ফুলে বা লাল হয়ে যেতে পারে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে আবার শুধু যৌনাঙ্গেই নয়, বীর্যের সংস্পর্শে এলে এলার্জি হতে পারে সমগ্র শরীরেই। সত্যিই এলার্জির ফলেই আপনার স্ত্রীর সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষা করতে হলে কনডম পরে সেক্স করে দেখুন। যদি কনডম পরে সঙ্গম ও বীর্যপাত করলে কোন জ্বালা-যন্ত্রণা না হয় তবে বোঝা যাবে যে সত্যিই আপনার স্ত্রীর বীর্যের প্রতি এলার্জি রয়েছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসার জন্য কোন ভাল স্ত্রী-রোগবিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
বীর্যের সংস্পর্শে এলে যোনির ভেতরে জ্বালা করার অপর একটি কারণ হল ভালভার ভেস্টিবিউলাইটিস (Vulvar vestibulitis)। এই রোগে যোনিদ্বার ও যোনির ভেতরে কিছু স্থানে লাল হয়ে বা ফুলে থাকে যেখানে চাপ লাগলে ব্যাথা বা জ্বালা অনুভব হয়। এমতাবস্থায় ওইসব অঞ্চল বীর্যের সংপর্শে এলে বীর্যের অম্ল-ধর্মের (acidic) প্রভাবে জ্বালা-যন্ত্রণা বেশি অনুভূত হতে পারে। তবে এই রোগের আরও কিছু লক্ষণ হল সঙ্গম করার সময় বা অন্যসময় যোনির মধ্যে কোন কিছু প্রবেশ করাতে গেলে ব্যাথা লাগে, সাইকেল চালাতে বা নাচতে গেলেও ব্যাথা লাগতে পারে, বারংবার প্রস্রাব করতেও ইচ্ছে হতে পার
এগুলো ছাড়া বিভিন্ন যৌনরোগ যেমন হার্পস, ঈষ্ট ইনফেকশন, ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ, Vaginitis ইত্যাদির ফলেও যোনির ভেতরে জ্বালা হতে পারে। ঠিক কি হয়েছে সেটা সম্মন্ধে নিশ্চিত হতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে হলে সত্ত্বর কোন ভাল স্ত্রী-রোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডাক্তার আপনার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করে বুঝতে পারবেন আপনার স্ত্রীর সমস্যা ঠিক কোথায়। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে শীঘ্রই আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে আশা করা যায়। তবে দয়া করে কোন কবিরাজ বা হাতুড়ে বা ইউনানী ডাক্তারের কাছে যাবেননা, তাতে আখেরে আপনাদেরই ক্ষতি। ভাল থাকুন।

Thursday 11 August 2016

প্রেমের বিয়ে টিকে না কেন?...................

বর্তমান সমাজে বিবাহ ও বিচ্ছেদ যেন একই সরলরেখায় চলছে। প্রেমের বিয়ে নিয়ে সমাজে বেশ রসিকতা, কানাঘুষা চলে। প্রেমে পড়াটা সম্পূর্ণ একটা বায়োলজিক্যাল ব্যাপার। বিয়ে প্রেম করেই হোক আর পারিবারিক সম্বন্ধের মাধ্যমেই হোক—পান থেকে চুন খসলেই হলো, তা মেনে নিতে পরিবারে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। বিয়ে মানেই জীবনের নতুন রোমাঞ্চ শিহরণ ভরা রোমান্টিক ইনিংসের শুরু। তাতে নানা রকম বৈচিত্র্য থাকবেই।
প্রেমের বিয়ে হলে তো কথাই নেই। দুজনের বনিবনা না থাকলে তাঁদের চেহারার মধ্যে বিষণ্নতা–কষ্ট–অভিমান ফুটে ওঠে বেশি। তার সঙ্গে একরাশ হতাশা। প্রেম করলাম, ভালোবাসলাম, সবার মতের বিরুদ্ধে দাঁড়ালাম; তারপরও এত কষ্ট কেমন করে সওয়া যায়।

সমস্যা নিয়েই এসেছিলেন এক জুটি। যখন জানতে পারি তাঁদের প্রেমের বিয়ে; অবাক হইনি। বেশ কয়েক বছর হয়ে গেলেও নিজের বা শ্বশুরবাড়ির দিকের কেউই ভালোভাবে নিতে পারেননি তাঁদের। নিজেদের বোঝাপড়ায়ও এখন কোথায় যেন চিড় ধরেছে। দুজনেই যেন নীরবে একে অপরকে বলছে, এক ছাদের নিচে থাকার চেয়ে আলাদা থাকা ভালো। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। স্ত্রীর কতই বা বয়স। এখনই চোখের নিচে ক্লান্তি আর হতাশার কালি। স্বামীও অকালে বুড়িয়ে গেছে। সামাজিক বৈরিতা ও মুখ দেখাদেখি বন্ধের নিঃশব্দ সংক্রমণ মোকাবিলা বড় কঠিন।

প্রেমের বিয়েতে মোহ কাজ করে। ভালোমন্দ, লাভক্ষতি—কোনো কিছুই চোখের সামনে দেখা দেয় না। অন্ধত্ব পেয়ে বসে। ছেলেমেয়ে দুজনেই তাদের দায়দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ভালো লাগা নিয়েই সবকিছুতে বিভোর থাকে। পরিবার–পরিজন তখন গৌণ হয়ে যায়। বাবা-মা তখন না পেরে মুখ বন্ধ করে থাকেন। তাঁরা হাজারো ভালো পরামর্শ দিলেও সেসব ভালো লাগে না প্রেম–জুটির। শত্রুতা বাড়িয়ে লাভ কি? নিঃশব্দে সব তরফেই দূরত্ব বাড়তে থাকে।

এক দম্পতি এলেন। স্বামী–স্ত্রী দুজনেই উচ্চশিক্ষিত। পড়তে পড়তে প্রেম। তারপর পরিবারের অমতে বিয়ে। একসময় মেয়েটির খালি হাতে এক কাপড়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে ওঠা। স্বামীর পরিবার কিছুটা অসচ্ছল। মেয়ের ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত পরিবার। মেয়ের বাবা, ভাইবোন সবাই প্রতিষ্ঠিত। মেয়েটি যখন শ্বশুরবাড়িতে গেল, কথায় কথায় শাশুড়ির মুখ ঝামটা। বউকে অকারেণ বকাঝকা করেন। নিজের ছেলেকে শিক্ষিত করেছেন বেশ কষ্ট করে। ছেলেকে এভাবে বউয়ের পেছন পেছন ঘুরতে দেখতে হবে, তিনি মেনে নিতে পারছেন না। বউ যা পারছে তা করছে কিন্তু বাড়ির মানুষদের মন ভরাতে পারছেন না। কাজের মেয়ের মতো খাটাতে না পারার কষ্ট কুরে কুরে খাচ্ছে। এর মধ্যে মেয়েটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘ছেলের বউ হিসেবে কাজের বেটি খুঁজছেন, তাহলে মেইড সার্ভেন্টকে বিবাহ করান। শিক্ষিত মেয়েকে ঘরে তুলে সংসারকে নরক বানাবেন না।’ গরম কড়াইয়ে যেন জলের ছিটা পড়েছে।

অনেক নাটক শেষে আলাদা সংসার। আর তখনই দেখা দিল স্বামীর পৌরুষময় চেহারা। তার মায়ের মতো সার্ভিস যেহেতু বউটি দিতে পারছে না, তাকে আর ভালো লাগছে না।
এখানে সময় ও জেনারেশন গ্যাপের বিষয়টি মোটেই আমলে নিতে রাজি নন কেউই। অল্পতেই খিটমিটি চলতে থাকে। এখন ভয়াবহ পর্যায়ে। শোনা যাচ্ছে স্বামীর অফিসে কর্মরত মহিলার সঙ্গে নটঘটও অনেক দূর গড়িয়েছে।

ফ্যামিলি কাউন্সেলিং যাঁরা করেন, তাঁরা দুটো পরিবারের সমঝোতাকে খুব গুরুত্ব দেন। অনেকের মতে, সমপর্যায়ে বিয়ে না হলে সমঝোতায় অনেক ব্যবধান থেকে যায়। কিন্তু, জীবন তো সোনার পাথরবাটি নয়।

বিয়ে একটি বাস্তবতা। একজীবনের মতো লম্বা একটা ইনিংস। আমৃত্যু থাকতে হবে নট আউট। সেটা প্রেমেরই হোক, কিংবা দুটো পরিবারের পাকাপাকি দেখায়ই হোক। সমস্যা বলে–কয়ে আসে না। আসে দৈব দুর্বিপাকের মতো। সমস্যাকে মোকাবিলার জন্য মানসিক শক্তি, ইচ্ছেই হচ্ছে বড় কথা।

সংসার সুখের হয় নানা রকম বোঝাপড়া, সমঝোতার গুণে। বিয়ের গাঁটছড়ার বন্ধন যখন হলো, এখন এটাকে সুখ–প্রশান্তির গৃহ হিসেবে টেকাতে হবে। খুনসুটি হবেই। দুপরিবার, আত্মীয়স্বজেনর টক্কর কমবেশি সবক্ষেত্রেই হয়। মনোবলকে রাখতে হবে দৃঢ়। ভালোবেসে বিয়ের বড় চ্যালেঞ্জই হলো, সেই সংসারকে সুখের সংসারে রূপান্তর। পারিবারিক বিয়ের চ্যালেঞ্জও একই। যার ঘর ভেঙে যাচ্ছে; সে সব কুল হারাতে চলেছে। ভালোবাসায় ভরে রাখতে হবে বিবাহিত জীবনের সব অধ্যায়। একদা একে অপেরর অচেনাকে করতে হবে চিরচেনার প্রেমের বন্ধন।

আরেকটি মেয়ে এল খালা আর মায়ের সঙ্গে। মেয়েটি বেশ সুন্দর ছিমছাম। মেয়েটিকে আনা হয়েছে যেন সে স্বামী, শাশুড়ির সঙ্গে একটু মানিয়ে চলে, তা যেন একটু বুঝিয়ে দিই। পছন্দের বিয়ে। পরিবার দুটিও সমান পর্যায়ের। কথা বলে দেখা গেল, মেয়েটিই খুঁতখুঁতে স্বভাবের। এ কারণে তার কারও বিশেষ করে শাশুড়ির চলনবলন একদম পছন্দ না। ময়লা নোংরা হাত দিয়ে ওর গ্লাস প্লেটে হাত দেয়। ওর স্বামী অফিস থেকে এসে হাত–পা না ধুয়ে বিছানায় উঠে বসে। এসব তার সহ্য হয় না। তাই আর থাকতে পারছে না। মেয়ের মা–খালা সবাই বুঝতে পারছে সমস্যা মেয়ের। সে যে শুচিবাই রোগে ভুগছে এটা মানতে নারাজ।

এই যে রোগের কথা বললাম, এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আমলে নিয়ে রাখুন সবাই। আমরা অনেকেই খুঁটিনাটি না জানা কিছু মনোসমস্যায় ভুগি; সেসবের কারণে যে সংসার গোল্লায় যাচ্ছে, মানতেই চাই না।

কেন হয় জটিলতা
পারিবারিক সম্বন্ধের বিয়েতে মুরব্বিদের খোঁজখবর নেওয়ার যে একটা সুফল পাওয়া যায়। প্রেমের বিয়েতে সে সুযোগ থাকে না। অ্যারেঞ্জড বিয়েতে পাড়া–প্রতিবেশী, অফিস সহকর্মী—কোনো কিছু বাদ যায় না। কিছু সমস্যা তাঁরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলেন বা ফেলার চেষ্টা করেন। অথচ প্রেমের বিয়েতে কিছু অপূর্ণতা থাকে। ছেলেমেয়ে দুজনেরই পারিবারিক সমস্যাগুলোকে জানা হয় না। নিজেদের বোঝাপড়াই যেন শেষ কথা। সামাজিকতার ধার ধারে না।

তাই যেকোনো সময় যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা পিছপা হন না। দায়িত্ববোধ তাঁদের মধ্যে ততটা গড়ে ওঠে না। পরিবারও এই সুযোগটা কাজে লাগায়। তাঁরাও সমস্যার সমাধানে না গিয়ে কীভাবে তিলকে তাল করতে হয়, সে রকম জটিলতায় হয় উৎসাহী। নাক গলানোর সুযোগ তো পাওয়া গেল শেষ পর্যন্ত।

পারিবারিকভাবে রুচি–সংস্কৃতির সম্মিলন যদি না ঘটে, তবে যেকোনো ধরনের বিয়েতেই মানিয়ে নেওয়াটা সবার জন্যই কষ্টকর। তবে মেয়েদের জন্য বেশি।

সংসারের দায়িত্বভার বণ্টন নিয়ে কোনো ছেলে বাবা–মায়ের সামনে কথা বলেছে এমনটা শুনি একবারেই কম। ছেলেরা যেন বিয়ে করেই খালাস। সব তাঁর বউকে মানিয়ে নিতে হবে। এই আদেশ অবজ্ঞা করলে কারও রেহাই নেই।

বিয়ের আগের চেহারা আর পরের চেহারা দেখে বউ হতাশ হন। ছেলের পরিবার ছেলেকে নিজের মতো করে নিতে চান। আর ছেলেও কিছুদিন পর আগের নানা দেওয়া কথা ও দায়দায়িত্বের ‘কমিটমেন্ট’ ভুলে যেতে থাকেন।

মেয়ের পড়াশোনা ক্যারিয়ার নিয়ে বিয়ের আগে সাহায্য–সহযোগিতার কথা দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পরই সেই একই ছেলে ইগো, অক্ষমতা, সামাজিকতার বেড়াজালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। নিজের মর্যাদা সম্মানটুকু হারিয়ে ফেলেন।

যা করা যেতে পারে
* পরিবার পরামর্শকেরা বলেন, প্রেম স্বর্গীয়। কিন্তু প্রেমে বেহুঁশ, বেদিশা হওয়া ঠিক নয়। প্রেম নিছকই ফাল্গুনের হাওয়া।

* বিয়ে হলো সামাজিক পারিবারিক স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। প্রেমের অনুভূতি যখন সঞ্চারিত হচ্ছে; তখন সেটা বিয়েতে গড়ানোর আগেই বাস্তব বুদ্ধি চোখ কান খোলা রাখা দরকার।

* অনেক প্রেমের বিয়ের টানাপোড়েন শেষে জানা যায়, কোনো এক পক্ষের প্রতারণাও কম দায়ী নয়। যেমনটা জেনে প্রেমের সূচনা; পরের বাস্তবতা ঠিক উল্টো। ছেলেটি বলেছিল, তার বাবা মফস্বল শহরের বড় ব্যবসায়ী। পরে জানা গেল, তিনি আসলে সিনেমা হলের কর্মচারী।

* মেয়েটি বলেছিল, তার মা ডাক্তার। দেখা গেল, তিনি টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্যকর্মী। এমন মিথ্যা বাগাড়ম্বর প্রেমপর্বে চলে, অভিযোগ কম নয়। তাই প্রেম স্বর্গ থেকে আসে; এমন বেকুব ধারণায় বুঁদ না হয়ে সঙ্গীর সম্পর্কে জানাশোনা উত্তম।

* প্রেম হোক, তারপরও সামাজিক খোঁজখবর ও আয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া ভালো। প্রেমের শেষে বিয়ে পারিবারিকভাবে করা গেলে সেটা ভালো।

* বিয়ের আগে পরের কমিটমেন্ট নিয়ে দুপক্ষকেই দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া ভালো। এমন প্রতিশ্রুতি না করাই ভালো, যে জন্য পরে লজ্জা পেতে বা পস্তাতে হয়।

* যোগ্যতা, কাজ, ক্যারিয়ার, অর্থকরী কাজে অংশগ্রহণ—সব রকম সংসারের জন্যই রক্ষাকবচ।

* দুই পক্ষের মা-বাবা আত্মীয়দের ভূমিকা কম নয়। এখনকার আধুনিক সমাজে প্রেম হতেই পারে। সুতরাং প্রেম যাতে সুখময় সংসারের দিকে গড়ায়, সে জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।

* প্রেম বা আনুষ্ঠানিক বিয়ে—সংসার পরিকল্পনা থাকতেই হবে। সবচেয়ে বড় প্রতিজ্ঞা হবে, আমরা ভালো থাকব। পরস্পর সুখে–দুঃখে থাকব। সব ঝড়ঝাপটা সামলাব। দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাব না।

সুলতানা আলগিন, সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

বিশ্বের ১০টি সেক্স মুভি (ছবিসহ)

বিশ্বে এমন অনেক যৌন উদ্দীপনাকে কেন্দ্র করে মুভি তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে এমন ১০টি সিনেমা যা দেখা মাত্রই চোখের পাতা এক করতে পারা যাবে না। তাহলে এবার এক ঝলকে দেখে নিন সিনেমাগুলিকে, আর ডাউনলোড করে দেখে নিন আজই...


১. ওয়াইল্ড অর্কিড:
আমেরিকান এই সিনেমাটি হল আদতে একটি যৌন উত্তেজক সিনেমা। ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রিলিজ করে সিনেমাটি। জালমান কিং পরিচালিত এই ছবিতে মিকি রাউরকে এবং ক্যারি ওটিস সহ বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ১৯৯২ সালে এই সিনেমার একটি সিক্যুয়েল রিলিজ করে।

২. ব্লু ইস দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার:
এটি একটি ফরাসি চলচ্চিত্র। যার পরিচালনা করেন আবদ্দুলাতিফ কাশিশ। এটি একটি রোম্যান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র। ২০১৩ সালে মুক্তি লাভ করে। ২০১৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি পালমে দোর পুরষ্কার জেতে। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়ার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যে এবং বিএএফটিএ পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে মনোনীত হয়েছে। অনেক সমালোচক একে ২০১৩ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হসেবে ঘোষনা করেন।

৩. টারজান, দ্য এইপ ম্যান:
একটি অ্যাডভেঞ্জার ছবি হল এই সিনেমাটি। যার পরিচালনা করেন জন ডেরেক। ১৯৮১ সালে প্রথম মুক্তি লাভ করে সিনেমাটি। 'টারজান অফ দ্য এইপসে'র গল্প অবলম্বনে বানানো হয়েছিল সিনেমাটিকে। সিনেমাটি বক্স অফিসে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছিল। 'বো ডেরেক' ওরস্ট অ্যাকট্রেস পুরস্কার পেয়েছিলেন।
   
৪. মনস্টার্স বল:
এটি একটি আমেরিকান উত্তেজনা মূলক সিনেমা। যার পরিচালনা করেন জার্মান-সুইস পরিচালক মার্ক ফরস্টার। ২০০১ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করে অ্যাকাডেমি পুরষ্কার পান বেরি।
৫. বডি অফ এভিডেন্স:
একটি যৌনবেদনাময়ী রোমাঞ্চকর সিনেমা হল এটি। পরিচালনা করেন উলি এদেল। তবে এই সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি।
৬. কিডস:
বিশেষত কিশোর ড্রামা হিসেবেই পরিচিত এই ছবিটি। পরিচালনা করেছিলেন ল্যারি ক্লার্ক। নিউ ইয়র্ক শহরের কয়েকজন কিশোরের যৌন উদ্দিপনাকে নিয়ে বানানো হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে মুক্তি লাভ করে সিনেমাটি।
৭. টিম আমেরিকা: ওয়ার্ল্ড পুলিস:
২০০৪ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এট আমেরিকার অ্যাকশন কমেডি সিনেমা। পরিচালনা করেছিলেন ট্রে পার্কার।
৮. শেম:
এটি একটি ব্রিটিশ ড্রামা ফিল্ম। যেটি ২০১১ সালে মুক্তি পায়। পরিচালনা করেছিলেন স্টিভ ম্যাকুইন। ছবিটির মাঝে বেশ কয়েকবার দেখতে পাওয়া যাবে যৌন উত্তেজনা। বক্স অফিসে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়ায় সিনেমাটি।
৯. দ্য আউট ল:
১৯৪৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি একটি আমেরিকান ছবি। একজন অভিনেত্রীর সেক্স সিম্বল হয়ে ওঠার কাহিনী দেখানো হয়েছে।
১০. কসমিক সেক্স:
২০১২ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। অভিনয়ে ছিলেন ঋ সেন, আয়ুষ্মান মিত্র, মুরারি মুখার্জি, ঋ্বক এবং পাপিয়া ঘোষাল। ২০১২ সালে কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়। এই চলচ্চিত্রে যৌনতা এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে একধরণের সংযোগের বিষয় অঙ্কন করা হয়েছে। যেখানে হিন্দু দেহতত্ত্বের প্রভাব রয়েছে যা প্রান্তিক পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে আজও চর্চা হয়ে আসছে।